স্ট্রোক - কারণ, লক্ষণ ও ঝুঁকি কমানোর উপায়
মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার ফলে যে অব্যবস্থা জন্ম নেয় তাকে বলা হয় স্ট্রোক (Stroke)। কারণ রক্ত প্রবাহ শরীরের সব জায়গার মত ব্রেইনেও অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় উপাদান বহন করে নিয়ে যায়। ✅ রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে ২ ভাবেঃ ১. শিরার ভিতর জমাট বাধা রক্তের কারণে। ২. শিরা ফেটে গিয়ে। অল্প কিছুক্ষণ অক্সিজেন ছাড়া থাকলেই ব্রেইনের নার্ভের কোষগুলো মারা যাওয়া শুরু করে। যখন ব্রেইনের কোনো কোষ অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়, তখন শরীরের কোন একটি অংশ তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। কারণ মারা যাওয়া কোষগুলো শরীরের ঐ অংশের সাধারণ কার্য পরিচালনা করে। ফলে প্যারালাইসিস হয় অথবা কথা বলতে না পারা অথবা দৃষ্টি শক্তিতে সমস্যা হয়। ✅ ব্রেইন স্ট্রোক এর লক্ষণঃ ১. হঠাৎ করে শরীরের কোন অংশ অবশ কিংবা দুর্বলতা অনুভব করা। ২. হঠাৎ কথা বলার সময় মুখের/জিহ্বার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা অথবা কারো কথা শোনার সময় না বুঝা। ৩. হঠাৎ করে এক অথবা দুই চোখে না দেখতে পাওয়া, কিংবা দেখতে অসুবিধা হওয়া। ৪. হাটার সময় অসুবিধা বোধ করা, মাথা ঝিমঝিম কিংবা শরীরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে না পারা। ৫. হঠাৎ করে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করা। ✅ ব্রেইন স্ট্রোক এর ঝুঁকিপূর্ণ কারণঃ ১. উচ্চ রক্তচাপ ২. রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে ৩. হার্টের রোগ থাকলে ৪. ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ ৫. ধুমপান ৬. স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন ৭. মদ্যপান ৮. পারিবারিক ইতিহাস ✅ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর উপায়ঃ ১. ব্লাড প্রেসার জানা এবং কন্ট্রোল করা ২. ধুমপান না করা ৩. কোলেসটেরল এবং চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া ৪. নিয়ম মতো খাবার খাওয়া ৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা ৬. নিয়ম করে হাটা বা হালকা দৌড়ানো ৭. দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা ৮. মাদক না নেয়া, মদ্যপান না করা ✅ স্ট্রোক হলে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।